শীতের তীব্রতা বেড়েছে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়েও।

শীতের তীব্রতা বেড়েছে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়েও।

তোয়াবুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ


গত দুদিন ধরে ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আজ (শনিবার) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। টানা দুদিন এখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের ফলে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হতদরিদ্র পরিবারগুলো।


সন্ধ্যা থেকে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। রাতে বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝরছে। রাস্তা-ঘাট মাঠ ভিজে যাচ্ছে কুয়াশায়। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় রাতে হাড়-কাঁপানো শীত শুরু হয়েছে। শীতের কাঁপুনি থাকছে দুপুর পর্যন্ত। এরপর সূর্যের মুখ দেখা গেলেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া শীতল থাকছে।


তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্র নাথ রায় জানান, হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা শীতল বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হওয়ায় এখানে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে।

তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানান তিনি।


তীব্র শীতে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। অনেক দরিদ্র পরিবার ও খেটে খাওয়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। রিকশা-ভ্যানসহ ছোট ছোট যানবাহনগুলোও বিপাকে পড়েছে। আয় কমে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।

শীতে কাতর গ্রামাঞ্চলের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শহরের মোড়ে মোড়ে কাগজ, টায়ার, কাঠখড়ে আগুন জ্বালিয়ে অনেককেই উষ্ণতা নিতে দেখা যাচ্ছে।


জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ২১ হাজার ২শ’ কম্বল বিতরণ করেছেন যা শীতার্তদের তুলনায় খুবই নগণ্য। অসহায় গরীব, ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের জন্য সরকারি বেসরকারি দফতরে ভিড় শুরু করছেন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ শীতবস্ত্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন